নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় অপহরণের সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর এক মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের একটি ভুট্টা খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তানিশা আক্তার (৫) নামের ওই শিশু কান্দারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাসেল মিয়া ও শারমীন আক্তারের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্লে গ্রুপে পড়ত।
দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহজাহান বলেন, গতকাল বেলা তিনটার দিকে বাড়ির পাশের মহিলা মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল শিশু তানিশা। এ সময় সংঘবদ্ধ একটি চক্র তানিশাকে অপহরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর মুঠোফোনে প্রথমে ২ লাখ, পরে ৫০ হাজার ও শেষে ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। দাবিকৃত মুক্তিপণের ২৫ হাজার টাকা তানিশার মা শারমীন আক্তার বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের পাঠিয়ে দেন। তবে টাকা পেয়েও তানিশাকে ছেড়ে দেয়নি অপহরণকারীরা।
নিরূপায় হয়ে তানিশার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন। পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ বিকেল থেকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তানিশাদের বাড়ির পাশের একটি ভুট্টার খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। লাশটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
শিশুটির চাচা ফয়সাল জানান, অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার কাছে ফোন করে ভাতিজি তানিশা কোথায় জানতে চায়। বাড়ীতে আছে বললে, তারা বলে বাড়ীতে নেই, আমাদের কাছে আছে। নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। পরে বিষয়টি আমাদের মেম্বারকে জানাই। মেম্বার পুলিশকে জানায়। পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজ (২৫) কে রাতে আটক করে তার দেয়া তথ্য মতে শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় বাড়ীর পাশের ভুট্টার জমি থেকে তানিশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন, শনিবার দিনের ৩টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তানিশা নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি যে তাকে অপহরন করা হয়েছে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাত ৩টায় ভূট্টা খেত থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, ধর্ষনের পর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সকালে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আটকের বিষয়টি পরে জানানো হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page